মুসা আল হাফিজ আপাদমস্তক একজন আলেম। তবে চিন্তায় ও লিখনিতে করে নিয়েছেন একটি স্বতন্ত্র জায়গা। শক্তিশালী গদ্যে-পদ্...
মুসা আল হাফিজ আপাদমস্তক একজন আলেম। তবে চিন্তায় ও লিখনিতে করে নিয়েছেন একটি স্বতন্ত্র জায়গা। শক্তিশালী গদ্যে-পদ্যে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন সমকালীনদের। লিখেছেন প্রায় ২৫টি বই। ইসলামি ও সাধারণ ধারার লেখালেখিতে শক্তিশালী অবস্থানে থাকা মুসা আল হাফিজ এখন তরুণদের আইডল। তারুণ্যের লেখালেখি নিয়ে লেখকপত্রের পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন: শাহিদ হাতিমী লেখকপত্র : লেখালেখিতে তরুণদের এগিয়ে যাওয়াকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন? মুসা আল হাফিজ : এটা ভালো। সম্ভাবনার, আশাবাদের। লেখকপত্র : লেখালেখিতে তরুণদের এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা ও শঙ্কাগুলো কী কী? মুসা আল হাফিজ : বাধা অনেক। নিজেকে যথার্থভাবে নির্মাণ না করে কেউ এগিয়ে যেতে পারে না। সাঁতার না শিখে কেউ নদী পাড়ি দিতে পারে না। সাঁতারে সক্ষমতা যখন অনর্জিত, এগিয়ে যাওয়া তখন কল্পনাবিলাসের মতো। আদর্শিক, চৈন্তিক এবং জ্ঞানগত ও ব্যবহারিক জীবনে ঋদ্ধি ও পরিশীলনের অনুপস্থিতি বা কমতি একজন লেখককে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিকাশের পথে বিড়ম্বিত করে। লেখকপত্র : মূলধারার সাহিত্যে মাদরাসাপড়ুয়ারা প্রভাব সৃষ্টি করার মতো অবস্থানে পৌঁছতে আর কত দিনের অপেক্ষা? মুসা আল হাফিজ : প্রভাব সৃষ্টি? সে তো দূরের কথা। স্থান করে নেয়া এখনকার অগ্রাধিকার। সে জন্য ব্যাপক পাঠ, প্রস্তুতি ও অংশগ্রহণের বিকল্প নেই। বৃত্তাবদ্ধ মানস ও চর্চাকে অতিক্রমের বিকল্প নেই। লেখকপত্র : ফেসবুককেন্দ্রিক কিছু লেখক গড়ে উঠছে, সেটাকে আপনি কীভাবে দেখেন? মুসা আল হাফিজ : ফেসবুক একটি সামাজিক মাধ্যম, একটি মিডিয়া। সেখান থেকে কেউ লেখক হিসেবে উঠে এলে ভালোই তো। কিন্তু দেখতে হবে, ফেসবুকীয় নানা প্রবণতা তাকে লেখক পরিচিতি দিয়েছে, নাকি লেখকসুলভ সৃজনশীলতা এবং নির্মিতির ঐশ্বর্য দিয়ে তিনি উঠে আসছেন। লেখকপত্র : অনুবাদনির্ভর লেখালেখির দিকে আলেমরা ব্যাপকভাবে ঝুঁকছেন, এই প্রবণতা রোধ করার উপায় কী? মুসা আল হাফিজ : এটা তো ভালো। এর সঙ্গে মৌলিক রচনায়ও মনোযোগ এবং অভিনিবেশ দরকার। লেখকপত্র : সাহিত্যচর্চা করতে গিয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস ও অবয়বে পরিবর্তন চলে আসে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আপনার পরামর্শ বা টিপস কী? মুসা আল হাফিজ : আদর্শিক চ্যুতি যার আসবে, সাহিত্য ছাড়া অন্যত্রও আসবে। তবে সাহিত্যে যারা বিচরণ করেন, তারা একটি উন্মুক্ত বিচরণের পরিবেশে চলে আসেন, নানামুখি ভাবধারার লেখক-সাহিত্যিকদের সংস্পর্শে আসেন। তাদের নানা কিছু গ্রহণ করেন। তবে এ ক্ষেত্রে যা কিছু শিল্প, যা কিছু সৌন্দর্য, যা কিছু আদর্শের পরিপন্থী নয়, তাকেই গ্রহণ করা যায়। আদর্শ বিসর্জনের দিকে যায় যারা তারা স্রোতের উপর ভাসমান খড়ের মতো। স্বীকৃতি ও গ্রহণীয়তার জন্য মেধাবী কাজই যথেষ্ট, আদর্শ বদলে তা আসে না, মেধা ও আদশের্র সমন্বয় থাকলে শুধু স্বীকৃতি বা পরিচিতি আসবে তা নয়, সঙ্গে আসবে শ্রদ্ধাও। আলেম লেখকদের উচিত সাহিত্যে শিল্পী ও দায়ীর ভূমিকা পালন করা।
Hello eBoighar member!
Hello eBoighar member!
Hello eBoighar member!
Are you sure?
By clicking “Accept All Cookies”, you agree to the storing of cookies on your device to enhance site navigation, analyze site usage, and assist in our marketing efforts.