ইবনে হাজিব বা ইবনুল হাজিব ( আরবি ابن الحاجب ইংরেজি Ibn Hajib ) একাধারে একজন স্বনামধন্য মুফাসসির, মুহাদ্দিস, মুফতি, দার্শনিক, ...
ইবনে হাজিব বা ইবনুল হাজিব ( আরবি ابن الحاجب ইংরেজি Ibn Hajib ) একাধারে একজন স্বনামধন্য মুফাসসির, মুহাদ্দিস, মুফতি, দার্শনিক, অলংকার শাস্ত্রবিদ, ভাষাতত্ত্ববিদ, সুফিতত্ত্ববিদ এবং যুগ শ্রেষ্ঠ আরবি ব্যাকরণবিদ । আরবি ব্যাকরণে যারা স্বীয় শ্রেষ্ঠতম অবদান রেখে অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম । বিভিন্ন বিষয়ে তিনি অনবদ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন । তবে ইলমে নাহু বা আরবি ব্যাকরণ শাস্ত্রের ক্ষেত্রে আল কাফিয়া নামক গ্রন্থ রচনা করে তিনি খ্যাতি লাভ করেন এবং অদ্যাবধি সেই কৃতিত্বের আসনে তিনি সমুজ্জ্বল নাম ও বংশ: নাম - উছমান, কুনিয়ত- আবু আমর, উপাধি- জামাল উদ্দিন । পিতার নাম- ওমর । তার সম্মানিত পিতা আমির ইজ্জুদ্দিন মুসাক সালাহির গৃহাধ্যক্ষ ছিলেন । গৃহাধ্যক্ষ বা দারোয়ানকে আরবিতে ' হাজিব ' বলা হয় । এ কারণে তিনি ' ইবনুল হাজিব বা ইবনে হাজিব '(দ্বার রক্ষকের ছেলে) নামে প্রসিদ্ধ হয়ে যান । যুগ শ্রেষ্ঠ এই আরবি ব্যাকরণবিদের পূর্ণ নামঃ আল্লামা জামাল উদ্দিন আবু আমর উসমান ইবনে উমর । তার বংশ পরিক্রমা হল- জামাল উদ্দিন আবু আমর ইবনে ওমর ইবনে আবু বকর ইবনে ইউনুস আদ্দুয়াইনি আল মিশরি আল মালিকি । জন্ম: তিনি মিশরের সায়িদ-এ আ'লা'র আমলে কাওসিয়ায় ' আছনা ' নামক ছোট্ট বস্তিতে ৫৭০ হিজরির শেষের দিকে জন্ম গ্রহণ করেন । শিক্ষা জীবন: প্রাথমিক শিক্ষার্জন করেছেন কায়রোতে । পবিত্র কুরআন মজিদ সম্পূর্ণ মুখস্থ করার পর ইমাম সাত্বিবী (রহ)-এর নিকট কিরাত বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেন । সাত ক্বারির পঠনরীতি অণুপাতে ইলমে ক্বিরাত শেষ করেন ইমাম আবুল জুদ-এর নিকট । এরপর শেখ আবুল মনসুর আবয়ারি ও ইমাম ইবনুল বেনা প্রমুখের কাছ থেকে তিনি শরয়ি আইন শাস্ত্রসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা বিষয়ে ব্যুৎপত্তি অর্জনে সক্ষম হন । মেধাশক্তি: ঐতিহাসিক ইবনে খাল্লিকান বলেছেন- ইবনে হাজিব আমার নিকট যাওয়া আসা করতেন । আরবি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন দুর্বোদ্ধ কঠিন বিষয়ে তার কাছে প্রশ্ন করলে তিনি বিচক্ষ্মনতার সাথে এর জবাব দিতেন । ঐতিহাসিক ইবনে খাল্লিকান তার প্রখর ধীশক্তির প্রশংসায় বলেছেন,- کان من احسن خلق اللہ ذھنا - অর্থাৎ তিনি ছিলেন আল্লাহর সৃষ্টবস্তুর মধ্যে উতকৃষ্ট মেধাবী । তিনি একবার নৌকা যোগে সফর করছিলেন । এক সফর সঙ্গীর স্ব-রচিত একটি কিতাবের পান্ডুলিপি তিনি চেয়ে নিয়ে পড়ছিলেন । মনোযোগ দিয়ে এর আদ্যোপান্ত পাঠ করেন । বেশ কিছু অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য এতে রয়েছে দেখে তিনি তা নদিতে ফেলে দিলেন । কিতাবের পান্ডুলিপির লিখক ব্যাথিত হয়ে বাদশার দরবারে ইবনে হাজিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন । ইবনে হাজিবকে তলব করা হলঃ এই ব্যক্তির কয়েক বছরের কষ্টার্জিত স্ব-লিখিত গ্রন্থের পান্ডুলিপি! আপনার এরকম করার কোন কারণ আমার বুঝে আসছেনা । আপনি তাকে খুশি করুন । বাদশার জিজ্ঞাসাবাদের পর ইবনে হাজিব তার স্মৃতির পাতা থেকে খাতার পাতায় হুবহু লিখে দিলেন সম্পূর্ণ গ্রন্থের-পান্ডুলিপিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত । ইন্তেকাল: তিনি ৬৪৬ হিজরির শাওয়াল মাসের ১৬ তারিখ ; কোন কোন গ্রন্থকার শাওয়ালের ২৬ তারিখ বলেও উল্লেখ করেন । আলেকজান্দ্রিয়ায় মৃত্যু বরণ করেন ।
Hello eBoighar member!
Hello eBoighar member!
Hello eBoighar member!
Are you sure?
By clicking “Accept All Cookies”, you agree to the storing of cookies on your device to enhance site navigation, analyze site usage, and assist in our marketing efforts.