অদৃশ্য বস্ত্তর চাইতে দৃশ্যমান বস্ত্ত মানব মনে দ্রুত প্রভাব বিস্তার করে। সেকারণ অদৃশ্য ব্যক্তি বা সত্তার কল্পনা থেকে মূর্তি ও ছবির প্রচলন ঘটেছে। অবশেষে মূর্তি বা ছবিই মূল হয়ে যায়। ব্যক্তি বা সত্তা অপাঙক্তেয় হয়। যার জন্য মূর্তিপূজায় মূর্তিই মুখ্য হয়, আল্লাহ গৌণ হয়ে যান। মূর্তির অসীলায় আল্লাহকে পাওয়ার মিথ্যা ধারণায় সে জীবন পার করে এবং অর্থ ও সময়ের অপচয় করে। এমনকি কোন কোন হঠকারী ব্যক্তি মূর্তিকে খুশী করার জন্য নিজের স্ত্রী ও সন্তানকেও কুরবানী দেয়। ছবি বা মূর্তির সম্মানের বিনিময়ে সে মানুষ হত্যা করতেও
...উদ্যত হয়। সেকারণ নূহ (‘আলাহিস সালাম) থেকে মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত সকল নবী মূর্তিপূজাকে ‘শিরক’ বলেছেন এবং সর্বদা এর বিরুদ্ধে মানবজাতিকে সাবধান করেছেন। এমনকি ‘নবীগণের পিতা’ ইবরাহীম (আঃ) তাঁর সন্তানদেরকে মূর্তিপূজা থেকে রক্ষা করার জন্য আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে বলেছেন,رَبِّ اجْعَلْ هَذَا الْبَلَدَ آمِنًا وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَنْ نَعْبُدَ الْأَصْنَامَ- رَبِّ إِنَّهُنَّ أَضْلَلْنَ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ فَمَنْ تَبِعَنِي فَإِنَّهُ مِنِّي وَمَنْ عَصَانِي فَإِنَّكَ غَفُورٌ رَحِيمٌ- ‘হে আমার পালনকর্তা, এ শহর (মক্কা)-কে তুমি শান্তিময় কর এবং আমাকে ও আমার সন্তানদের তুমি মূর্তিপূজা থেকে দূরে রাখ’। ‘হে আমার প্রতিপালক! এই মূর্তিগুলি বহু মানুষকে বিপথগামী করেছে। অতএব যে আমার অনুসারী হবে, সে আমার দলভুক্ত। আর যে আমার অবাধ্য হবে, নিশ্চয় তুমি ক্ষমাশীল ও দয়াবান’ (ইবরাহীম ১৪/৩৫-৩৬)।
ভক্তি ও ভালোবাসা হৃদয়ের বিষয়। বাহ্যিকতায় তা বিনষ্ট হয়। ফলে লৌকিকতায় ডুবে গিয়ে এক সময় মানুষ তার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ভুলে যায় এবং তাঁর বিধানকে অগ্রাহ্য করে। নিজেদের হাতে গড়া ছবি-মূর্তির পিছনে সে তার সময়, শ্রম ও অর্থের অপচয় করতে থাকে। অথচ সে ভাল করেই জানে যে, ছবি-মূর্তির ভাল বা মন্দ কিছুই করার ক্ষমতা নেই। তবুও তারা ভাবে যে, এরা আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য সুফারিশকারী’ (ইউনুস ১০/১৮)। এভাবে শয়তানের ধোঁকায় পড়ে সে কোন যুক্তিই মানতে চায় না। কারণ ভক্তি যেখানে অন্ধ, যুক্তি সেখানে অচল।
মূর্তিপূজার সূচনা (بدء عبادة الأوثان) : মানবজাতির আদি পিতা আদম ‘আলাইহিস সালাম হ’তে নূহ (আঃ)-এর মধ্যবর্তী সময়ে কিছু ধার্মিক ও নেককার মানুষ খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেন। নূহ (আঃ)-এর সময়ে তাঁরা মৃত্যুবরণ করলে ইবলীস তাদের ভক্ত-অনুসারীদের প্ররোচনা দিল যে, ঐসব নেককার লোকদের বসার স্থানে তোমরা তাদের মূর্তি স্থাপন কর এবং সেগুলিকে তাদের নামে নামকরণ কর। শয়তান তাদের যুক্তি দিল যে, যদি তোমরা মূর্তিগুলোকে সামনে রেখে ইবাদত কর, তাহ’লে তাদের স্মরণ করে আল্লাহর ইবাদতের প্রতি তোমাদের অধিক আগ্রহ সৃষ্টি হবে। তখন লোকেরা সেটা মেনে নিল। অতঃপর এই লোকেরা মৃত্যুবরণ করলে তাদের পরবর্তীদের শয়তান কুমন্ত্রণা দিল এই বলে যে, তোমাদের বাপ-দাদারা এইসব মূর্তির পূজা করতেন এবং এদের অসীলায় বৃষ্টি প্রার্থনা করতেন ও তাতে বৃষ্টি হ’ত। একথা শুনে তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে সরাসরি মূর্তিপূজা শুরু করে দিল। অতঃপর এভাবেই মূর্তিপূজার সূচনা হয়। পবিত্র কুরআনে নূহ (আঃ)-এর সময়কার ৫ জন পূজিত ব্যক্তির নাম এসেছে। যথাক্রমে অদ, সুওয়া‘, ইয়াগূছ, ইয়া‘ঊক্ব ও নাস্র (নূহ ৭১/২৩)। এদের মধ্যে ‘অদ’ ছিলেন পৃথিবীর প্রথম পূজিত ব্যক্তি যার মূর্তি বানানো হয়’ (ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা নূহ ২৩ আয়াত; বুখারী হা/৪৯২০ ‘তাফসীর’ অধ্যায়)।
পরবর্তীকালে মানুষ ছবি বানাতে শিখলে ছবি, প্রতিকৃতি, স্থিরচিত্র ইত্যাদি এখন মূর্তির স্থান দখল করেছে। মূল ব্যক্তির কল্পনায় এগুলি তৈরী করা হয়। একই ধারণায় সমাধিসৌধ, স্মৃতিসৌধ, প্রতিকৃতি, স্তম্ভ, ভাষ্কর্য, মিনার, বেদী ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়। এগুলিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এগুলির পূজা ও কবরপূজা মূর্তিপূজারই নামান্তর। ছবি-মূর্তি পূজা এবং কবরপূজা ও স্থানপূজার কারণ ও ফলাফল একই। তাই দু’টি বিষয়কে আমরা ১ম ভাগে ও ২য় ভাগে আলোচনা করেছি।
বিগত যুগের মুশরিকরা তাদের মূর্তিগুলি নিজ হাতে বানাতো, সেগুলিকে রক্ষা করত, লালন করত, সম্মান করত, সেখানে ফুল ও নৈবেদ্য পেশ করত। কেউ কেউ এর অসীলায় আল্লাহর নৈকট্য চাইত ও পরকালীন মুক্তি তালাশ করত। বর্তমান যুগের নামধারী মুসলমানরা সেকাজটিই করছে একইভাবে একই ধারণায়। ক্ষুধার্ত ও অভাবগ্রস্ত মানুষকে তারা কিছুই দিতে চায় না। অথচ মৃত মানুষের কবরে বিনা দ্বিধায় তারা হাযারো টাকা ঢালে। ভূমিহীন, ছিন্নমূল মানুষ একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই পায় না। অথচ মাযার, মিনার, স্মৃতিসৌধ ইত্যাদির নামে সারা দেশে শত শত একর জমি জবরদখল ও সরকারীভাবে অধিগ্রহণ করে রাখা হয়েছে। যেগুলি স্রেফ অপচয় ও শিরকের আখড়া ব্যতীত কিছুই নয়। মূর্তিভাঙ্গা ইবরাহীম (আঃ)-এর গড়া কা‘বায় যেমন তাঁর বংশধর কুরায়েশরা মূর্তি দিয়ে ভরে ফেলেছিল, তেমনিভাবে সেখান থেকে মূর্তি ছাফকারী ইবরাহীম-সন্তান শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহে ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসারী হবার দাবীদাররা আজ ঘরে-বাইরে সর্বত্র বেনামীতে ছবি-মূর্তি পূজা করে চলেছে। অথচ ‘ইসলাম’ এসেছিল এসব দূর করার জন্য। মানুষকে অসীলাপূজার শিরক থেকে মুক্ত করে সরাসরি আল্লাহর দাসত্বে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য এবং তাকে প্রকৃত অর্থে স্বাধীন মানুষে পরিণত করার জন্য।
আমরা অত্র বইয়ের ১ম ভাগে ‘ছবি ও মূর্তি’র বিরুদ্ধে ২৩টি হাদীছ ও আছার (১১-২১ পৃ.) এবং ২য় ভাগে ‘কবরপূজা ও স্থানপূজা’র বিরুদ্ধে ২০টি হাদীছ ও আছার (২২-৩৮ পৃ.) পেশ করেছি। অতঃপর সেগুলির পর্যালোচনা ও বিদ্বানগণের বক্তব্য তুলে ধরেছি (৫৪-৬০ পৃ.)।
ভারত বিজেতা সুলতান মাহমূদ (৩৪০-৪২১ হি./৯৭১-১০৩০ খৃ.)-কে যখন বিখ্যাত সোমনাথ মন্দির ভাঙ্গার বিনিময়ে অঢেল অর্থ ও মণি-মুক্তা দিতে চাওয়া হয়, তখন তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘হামলোগ বুত শিকান হ্যাঁয়, বুত ফুরোশ নেহীঁ’। ‘আমরা মূর্তি ভাঙ্গা জাতি, মূর্তি বিক্রেতা নই’। অথচ আজ রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয়ে এসব কাজই করছেন মুসলিম নেতারা। আল্লাহর নিকটে এঁরা কি কৈফিয়ত দিবেন, তাঁরাই ভাল জানেন।
প্রসিদ্ধ আছে যে, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু (১৮৮৯-১৯৬৪ খৃ.) একবার আজমীরে খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতীর (৫৩৫-৬৩৩ হি./১১৪১-১২৩৬ খৃ.) মাযারে গিয়ে সমবেত ভক্তদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন, ‘ভাইয়ো! হিন্দু আওর মুসলিম ভারত মাতা কে দো সন্তান হ্যাঁয়। দূনূঁ মেঁ কোয়ী ফারক্ব নেহী হ্যাঁয়। স্রেফ এহী কে হিন্দু আপনে দেওতাঊঁ কো সামনে রাখ্ কে পূঁজতে হ্যাঁয়, আওর মুসলিম আপনে দেওতাঊঁ কো মেট্টী কে নীচে ঢাঁপ কে পূঁজতে হ্যাঁয়’ (ভাইয়েরা আমার! হিন্দু ও মুসলিম ভারত মাতার দুই সন্তান। দু’জনের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কেবল এতটুকু যে, হিন্দু তাদের দেবতাকে সামনে রেখে পূজা করে। আর মুসলমান তাদের দেবতাকে মাটির নীচে (কবরে) ঢেকে পূজা করে’।
হে মুসলিম! এর চাইতে আর কি গালি তুমি শুনতে চাও! হ্যাঁ, একেই বলে মিছরীর ছুরি। অতএব আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করব এসব শিরকী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য এবং আল্লাহর গযব থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার জন্য। কেননা আল্লাহ বান্দার সব গোনাহ মাফ করেন, কিন্তু শিরকের গোনাহ মাফ করেন না (নিসা ৪/৪৮, ১১৬)। পরকালে এসব লোকের জন্য আল্লাহ জান্নাতকে হারাম করেছেন (মায়েদাহ ৫/৭২)। অতএব হে জাতি! ছবি-মূর্তি এবং কবর ও স্থানপূজা থেকে সাবধান হও!!
ডেলিভারি সময়
১~৩ দিন: ঢাকা শহর
৩~৫ দিন: সারা বাংলাদেশ
১~৪ সপ্তাহ: দেশের বাইরে
ডেলিভারি চার্জ
টাকা 60 : ঢাকা শহরে
টাকা 100 (কমপক্ষে): সারা বাংলাদেশ
পার্সেলের ওজনের উপর নির্ভর করে*
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব (জন্মঃ ১৫ জানুয়ারী, ১৯৪৮) বাংলাদেশের একজন প্রসিদ্ধ ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক। তিনি জাতীয়ভিত্তিক ধর্মীয় সংগঠন আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান আমীর। এছাড়াও তিনি মাসিক আত-তাহরীক পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এবং কয়েকটি সমাজকল্যাণমূলক সংস্থার পরিচালক। [১] ২০১৬ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে প্রফেসর হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন।
পারিবারিক পরিচিতি,
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সাতক্ষীরা সদর থানার বুলারাটি গ্রামে ১৯৪৮ সালের ১৫ জানুয়ারি জ ...্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মাওলানা আহমাদ আলী (১৮৮৩-১৯৭৬) বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একজন খ্যাতনামা আহলেহাদীছ আলেম ছিলেন। তাঁর বড় ভাই আব্দুল্লাহিল বাকী ছিলেন মুসলিম লীগের বিশিষ্ট নেতা। যিনি ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় পাকিস্তান আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন । তাঁর বংশ পরিক্রমা- আসাদুল্লাহ আল-গালিব বিন আহমাদ আলী বিন মুনশী যীনাতুল্লাহ বিন আলহাজ্জ যমীরুদ্দীন বিন রফী মাহমূহ বিন আব্দুল হালীম বিন উযির আলী মণ্ডল বিন সৈয়দ নযীর আলী আল-মাগরেবী। তাঁর উর্ধ্বতন ৭ম পুরুষ সৈয়দ নাযীর আলী আল-মাগরেবী (রহ.) ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে মরক্কো থেকে এদেশে আগমণ করেন এবং পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা জেলাধীন বারাসাত মহকুমায় বিবাহ করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ৪ সন্তানের জনক।১৯৭৯ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর শ্বশুর ছিলেন প্রাক্তন সরকারী কর্মকর্তা (তৎকালীন সার্কেল অফিসার/ উপজেলা নির্বাহী অফিসার) জনাব আকবার আলী (মৃ. ১৯৮৬ইং)। সহধর্মীনী তাহেরুন্নেছা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর। তিনি বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহতাবুদ্দীন (মৃ. ১৯৮০ইং)-এর নাতনী এবং খান বাহাদুর মোবারক আলী (খান বাহাদুর আহছানউল্লাহর ভ্রাতা)-এর প্রোপৌত্রী।
শিক্ষা:
তিনি সাতক্ষীরার কাকডাঙ্গা সিনিয়র মাদরাসা থেকে দাখিল, আলিম ও ফাযিল এবং জামালপুরের আরামনগর কামিল মাদরাসা থেকে ১৯৬৯ সালে কামিল পরীক্ষা কৃতিত্বের সাথে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মাদরাসা বোর্ডে আলিম ও কামিল পরীক্ষার সম্মিলিত মেধা তালিকায় তার অবস্থান ছিল যথাক্রমে ১৬তম এবং ৫ম। পরবর্তীতে তিনি কলারোয়া সরকারী কলেজ, সাতক্ষীরা থেকে আইএ এবং সরকারী মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ, খুলনা থেকে বিএ পরীক্ষাতেও কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। অত:পর ১৯৭৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে মাস্টার্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। ১৯৮৪ সালে তিনি ইংল্যাণ্ডে পিএইচডি গবেষণার জন্য কমনওয়েলথ স্কলারশীপ লাভ করেছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত গমন করেননি। ১৯৯২ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। মাতৃভাষা বাংলাসহ আরবী, ইংরেজী, উর্দূ এবং ফার্সী ভাষায় তাঁর দক্ষতা রয়েছে।
পেশাজীবন:
১৯৮০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনিস্টিটিউট অব মডার্ন ল্যাংগুয়েজে খণ্ডকালীন লেকচারার হিসাবে যোগদান করেন। অত:পর একই বছরের ১০ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের \'আরবী ও ইসলামী শিক্ষা\' বিভাগের লেকচারার হিসাবে যোগদান করেন। অতঃপর ২০১৬ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। পেশাগত কাজে ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণের জন্য তিনি ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকা, সৌদি আরব, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ করেছেন। ২০০০ সনে তিনি সঊদী সরকারের রাজকীয় মেহমান হিসাবে হজ্জব্রত পালন করেন।
'কার্টে নিন' বাটন চাপলে, বই বা আইটেমটি কার্টে চলে যায়। এরপরে আরো বই বা আইটেম যোগ করতে পারেন। অবশেষে, অর্ডার করার জন্য, আপনি উপরের মেনু বারের ডানদিকে কার্ট আইকনে ট্যাপ (ক্লিক) করুন। আবার অন্যভাবে, যখন কার্টের সামারি দেখায় তখন 'এখনই অর্ডার করুন' বাটনে চেপে কার্টে যেতে পারেন। কার্ট পেজে কি কি বই বা আইটেম নিয়েছেন তা ভালো করে বিস্তারিত দেখতে পারবেন। সুবিধামত বই বা আইটেমগুলি কম বেশি করে নিতে পারেন। কোনটা কিনতে না চাইলে তা বাদ দিতে পারেন। তারপরে শিপিং পেমেন্ট পেজ এ যাবেন। যদি আপনি লগইন অবস্থায় না থাকেন তাহলে মোবাইল নম্বর ভেরিফাই হবে। আপনার মোবাইলে ওয়ান টাইম 4 ডিজিটের পিন বহনকারী একটি এসএমএস আসবে। আপনি পিন সঠিকভাবে প্রবেশ করার পর, আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ ইন হয়ে যাবেন। এখন, শিপিং এবং পেমেন্ট পেজ দেখা যাবে। আপনি যদি আগে আমাদের কাছ থেকে অর্ডার করে থাকেন, তাহলে আপনি আপনার নাম খুঁজে পাবেন, ইমেল, শিপিং ঠিকানা এবং শিপিং টাইপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পপুলেটেড হবে। যদি এই অর্ডারই আপনার জন্য প্রথম হয় তাহলে সুস্বাগতম! এই পেজে দরকারি তথ্য এন্টার করুন এবং সাবমিট করুন। ব্যাস হয়ে গেলো আপনার প্রথম অর্ডার! যদি বিকাশ বা রকেট অফলাইন পেমেন্ট সিলেক্ট করে থাকেন, তাহলে এখন আপনি মার্চেন্ট নম্বর 01779003333-এ পেমেন্ট করবেন। ট্রানসাকশান আইডি (TrxID) সাবমিট করবেন। আমরা শীঘ্রই আপনাকে কল করব। প্রয়োজনে পুরা প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে আমরা আপনাকে সহায়তা করবো।
সেরা ডেলিভারি অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য, ঠিকানা যতটা সম্ভব বিস্তারিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি কখনো আপনার ঠিকানায় ভুল থাকে তাহলে,আমাদের সাপোর্ট টিম আপনার মোবাইল নম্বরে কল করবে এবং এটি সংশোধন করতে সাহায্য করবে। অতএব, খেয়াল রাখুন যেকোনো সময়ে আমাদের হেল্প লাইন নম্বর থেকে কল যেতে পারে। যদি ডেলিভারি ঠিকানা ঢাকা শহরের মধ্যে হয়, আমাদের ডেলিভারি পার্সন আগে আপনাকে কল করবে। যদি আপনার ঠিকানা অন্য কোথাও হয় (বাংলাদেশ বা দেশের বাইরে), তাহলে আমাদের নির্ধারিত কুরিয়ার পার্টনার আপনার কাছে পার্সেল পৌঁছে দেবে। যদি কোনো নির্দিষ্ট সময়ে পার্সেল গ্রহণ করতে না পারেন তাহলে অথবা অন্য যেকোনো কারণে যে কোনো সময়ে আমাদের হেল্প লাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন। এছাড়াও, আমাদের ফেসবুক (TM) পেজে ইনবক্সিং দ্বারা মেসেজ পাঠাতে পারেন।
ইবইঘরে আপনার প্রয়োজনে সবচেয়ে সেরা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া অপেক্ষা করছে। এটি আমাদের একটি অঙ্গীকার. আমরা অক্টোবর, ২০১২ থেকে সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। হাজার হাজার শিক্ষার্থী,শিক্ষাবিদ, পেশাদার আমাদের ভালোবেসেছেন এবং বিশ্বাস করেছেন। এই বিশ্বাসকে আমরা গভীরভাবে মূল্য দিই। আমাদের বিস্তারিত রিটার্ন নীতি শর্তাবলী পৃষ্ঠায় আছে। এখানে অর্ডার করার অর্থ এই যে, আপনি এই শর্তাবলী মেনে নিয়েছেন। সংক্ষেপে বলতে, ডেলিভারি দেওয়ার পরে যদি অর্ডার (বা আইটেম) ত্রুটিপূর্ণ মনে করেন, তাহলে আপনি পুরো অর্ডার বা অর্ডারের কিছু অংশ ফেরত দিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, বইয়ের ছেঁড়া পাতা, অনুপস্থিত পাতা, ভুল বই, ভেজা, বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত ইত্যাদি বৈধ ত্রুটি থাকলে একটি বই ফেরত দেওয়া যেতে পারে। । এই ধরনের ক্ষেত্রে আমরা আইটেমটি বদলিয়ে দেই। যদি কোনো কারণে বদলানো না যায়, তাহলে আমরা বইটির মূল্য ফেরত দেই। আমরা আপনার ওপরে আস্থাশীল।
পুরো ইকমার্স সেবার যেকোনো সময়ে যদি কোন অসুবিধার সম্মুখীন হন এবং ইবইঘরের শীর্ষ ব্যবস্থাপনায় অভিযোগ করতে চান, তাহলে দয়া করে ইমেল পাঠান info@eBoighar.com। শীর্ষ ব্যাবস্থাপক দৈনিক এই ঠিকানায় যেকোন ইমেল পড়েন।
৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে, ইবইঘর মানুষের একাডেমিক, পেশাগত এবং ব্যক্তিগত বইয়ের চাহিদা পূরণ করে আসছেে। বর্তমানে, পাঠ্যপুস্তক, গাইডবুক, প্রশ্ন ব্যাংক, পরীক্ষা প্রস্তুতি গাইড থেকে কথাসাহিত্য, নন-ফিকশন এবং ধর্মীয়, ইসলামিক; নার্সারি থেকে পিএইচডি স্তর পর্যন্ত সকল প্রকার বই পাবেন। যখন বইপ্রেমীদের কিছু বিরল বইয়ের প্রয়োজন হয়, তখন তাঁরা আমার বই খুঁজুন পেজে আমাদেরকে অনুরোধ করেন। আমরা আনন্দের সাথে সাহায্য করি। আমরা অনেক দরকারী সরঞ্জাম এবং একসেসরিও বিক্রি করি। আমাদের চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং অ্যাপ্রন সারা বছর হাজারো চিকিৎসকের মন কুড়িয়ে চলেছে। সুবিধাজনক ইলেকট্রনিক পেমেন্ট, ক্যাশ অন ডেলিভারি, সহজ, ন্যায্য এবং উদার রিটার্ন এবং রিফান্ড ... সবই ক্রেতাদের ভালোবাসা অর্জন করেছে। আপনাদের যে কোনো অভিযোগ আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় সমাধান করি। আমরা সেরা মূল্য এবং সেবার মানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
সকল শিক্ষার্থীদের জন্য সফল হওয়ার সমান সুযোগ তৈরির জন্য আমরা নিরলস কাজ করছি।। সমস্ত শিক্ষাবিদ, পেশাদার এবং ব্যক্তিদের জন্য। সমস্ত ক্রেতা, সরবরাহকারী এবং পৃষ্ঠপোষক ... অবস্থান নির্বিশেষে, সবার জন্যে। সকল মানুষের জন্য সাশ্রয়ী ও নতুন নতুন ডিজিটাল সক্ষমতা ছড়িয়ে দিতে আমরা সাধ্যের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তাই আজই যোগদান করুন । সার্চ করুন, ব্রাউজ করুন এবং কিনুন। আপনার আইডিয়াা আমাদেরকে পাঠান। আসুন একসাথে, একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি।
"সব কুকিজ গ্রহণ করুন" ক্লিক করে, আপনি সাইট নেভিগেশন উন্নত করতে, সাইটের ব্যবহার বিশ্লেষণ করতে, এবং আমাদের বিপণন প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য আপনার ডিভাইসে কুকি সংরক্ষণ করতে সম্মত হন।
×
যখন আপনি কোন ওয়েবসাইট পরিদর্শন করেন, তখন ওয়েবসাইটটি বেশিরভাগই কুকিজ আকারে আপনার ব্রাউজারে তথ্য সংরক্ষণ বা পুনরুদ্ধার করতে পারে। এই তথ্যগুলো আপনার পছন্দ বা আপনার ডিভাইস সম্পর্কে হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেন সাইটটি আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে তা নিশ্চিত করতে এগুলো ব্যবহৃত হয়। এগুলো সাধারণত আপনাকে সরাসরি সনাক্ত করে না, তবে এটি আপনাকে আরও ব্যক্তিগতকৃত ওয়েব অভিজ্ঞতা দিতে পারে। আমরা আপনার গোপনীয়তার অধিকারকে সম্মান করি। তাই আপনি কিছু ধরণের কুকিজের অনুমতি নাও দিতে পারেন। আরও জানতে এবং আমাদের ডিফল্ট সেটিংস পরিবর্তন করতে বিভিন্ন বিভাগের শিরোনামে ক্লিক করুন। যাইহোক, কিছু ধরণের কুকিজ ব্লক করলে আমাদের ওয়েবসাইটে আপনার অভিজ্ঞতা এবং আমাদের সার্ভিসগুলি ব্যাহত হতে পারে।
অধিক তথ্য
এই কুকিজ ওয়েবসাইটের কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় এবং আমাদের সিস্টেমে বন্ধ করা যাবে না। সেগুলি সাধারণত আপনার দ্বারা সাইট ব্যবহার করার ফলে সেট করা হয়। যেমন আপনার প্রাইভেসী চয়েস সেট করা, লগ ইন করা বা ফর্ম পূরণ করা। আপনি আপনার ব্রাউজারকে এই কুকিজ সম্পর্কে ব্লক বা সতর্ক করার জন্য সেট করতে পারেন, কিন্তু সাইটের কিছু অংশ তখন কাজ করবে না। এই কুকিগুলি ব্যক্তিগতভাবে সনাক্তযোগ্য কোনো তথ্য সংরক্ষণ করে না।
এই কুকিজ আমাদের কতগুলো ভিজিট এবং তার উৎস হিসাব করার অনুমতি দেয়। ফলে আমরা সাইটের কর্মক্ষমতা পরিমাপ ও আরো উন্নত করতে পারি। কোন পৃষ্ঠাগুলি সবচেয়ে কম অথবা বেশি জনপ্রিয়, কিভাবে দর্শনার্থীরা সাইটের বিভিন্ন পেজে যাচ্ছেন। এইসব বিষয় এই কুকিজ গুলো আমাদের জানতে সাহায্য করে। কোনো ব্যাক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হয় না। আপনি যদি এই কুকিগুলিকে অনুমতি না দেন তাহলে আপনি কখন আমাদের সাইট পরিদর্শন করেছেন তা আমরা জানতে পারব না এবং এর কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হব না।
এই কুকিগুলি ওয়েবসাইটকে উন্নত কার্যকারিতা এবং ব্যক্তিগতকরণ প্রদান করতে সক্ষম করে। সেগুলি আমাদের দ্বারা বা তৃতীয় পক্ষের দ্বারা সেট করা হতে পারে। তৃতীয় পক্ষ, যাদের পরিষেবাগুলি আমরা আমাদের পৃষ্ঠায় যুক্ত করেছি তাঁরা। আপনি যদি এই কুকিগুলিকে অনুমতি না দেন তাহলে এই আমাদের সার্ভিসের কিছু বা সবগুলি সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে।
এই কুকিজ আমাদের সাইটের মাধ্যমে আমাদের বিজ্ঞাপন অংশীদারদের দ্বারা সেট করা হতে পারে। সেগুলি আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে এবং অন্যান্য সাইটে আপনাকে প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য সেগুলি ব্যবহার করা হতে পারে। তারা সরাসরি ব্যক্তিগত তথ্য সঞ্চয় করে না, কিন্তু আপনার ব্রাউজার এবং ইন্টারনেট ডিভাইসকে অনন্যভাবে চিহ্নিত করতে পারে। আপনি যদি এই কুকিজের অনুমতি না দেন, তাহলে আপনি কম লক্ষ্যযুক্ত বিজ্ঞাপনের অভিজ্ঞতা পাবেন।
এই কুকিগুলি বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া সার্ভিস দ্বারা সেট করা হয়েছে। ফলে আপনার বন্ধুদের সাথে এবং তাদের সামাজিক মিডিয়াতে বই বা আইটেম যেন আপনি শেয়ার করতে পারবেন। সামাজিক মিডিয়া অন্যান্য সাইট জুড়ে আপনার ব্রাউজার ট্র্যাক করতে পারে। আপনার আগ্রহের প্রোফাইল তৈরি করতেও সক্ষম। আর দ্বারা আপনার ভিজিট করা অন্যান্য ওয়েবসাইটের তথ্য এবং মেসেজ প্রভাবিত হতে পারে। আপনি যদি এই কুকিগুলিকে অনুমতি না দেন তাহলে আপনি এই শেয়ারিং টুলগুলি ব্যবহার করতে বা দেখতে পারবেন না।
ফেসবুক বা গুগলের মাধ্যমে দ্রুত লগইন করুন