মাতৃভাষায় বর্ণপরিচয় কেবলই ভাষাশিক্ষার উপায় নয়, বরং প্রজন্মান্তরে ভাষার উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠা ও ঐতিহ্যরক্ষায় এর তাৎপর্য সুগভীর। মাতৃভাষা চর্চার প্রথম সচেতন পাঠ বর্ণপরিচয়ে, আবার মানবশিশুর পুঁথিগত শিক্ষার সূচনাবিন্দু এই বর্ণপরিচয়। সে-অর্থে বর্ণপরিচয় শুধু মাতৃভাষা শেখার পর্যায়মাত্র নয়, সর্বজনের মৌলিক মানবিক অধিকার যে শিক্ষা, সেটির বুনিয়াদ। বর্ণপরিচয় ও ভাষাশিক্ষার প্রথম উপকরণ প্রাইমার। তাই শিক্ষার সর্বজনীন অধিকার প্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ পথের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ এই প্রাইমার।
বর্ণলিপি নিয়ে
...মার আগ্রহ ও কাজের ধারাবাহিকতার প্রারম্ভে বাংলা প্রাইমারের একটি সংকলন করার পরিকল্পনা ছিল। উদ্দেশ্য ছিল, উল্লেখযোগ্য আদি প্রাইমারের সংগ্রহ, সময়ের সঙ্গে এর নির্মাণ, পরিমার্জন, মুদ্রণের কৌশল ও প্রকৌশল অনুধাবন। এই কাজের প্রয়োজনে আশিষ খাস্তগীর স¤পাদিত পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির “বাংলা প্রাইমার সংগ্রহ (১৮১৬-১৮৫৫)” শীর্ষক বইটি আমার সংগ্রহে আসে এবং নিঃসন্দেহে বাংলা প্রাইমারের প্রতি আমার কৌতূহল ও অন্তর্নিহিত তাগিদ বহু গুণে বাড়িয়ে তোলে।
বাংলা প্রাইমার অধ্যায়ের সূচনা ১৮১৬ সালে, শ্রীরামপুর মিশনারিদের উদ্যোগে বারো পৃষ্ঠার প্রথম বাংলা বর্ণশিক্ষার বই “লিপিধারা” থেকে। বাঙালির রচিত প্রথম বর্ণশিক্ষার বই “শব্দসার”, লেখক ঈশ্বরচন্দ্র বসু; রচনাকাল ১৮৩৫। বর্ণশিক্ষাকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিতে তিন খণ্ডে ছাপা হয় “শিশু সেবধি”, ১৮৪০ সালে।
প্রথমদিকে প্রাইমারগুলো নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম অনুসারে পাঠ্যবই হিসেবে প্রণয়ন করা হয়। এই পর্বে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে মদনমোহন তর্কালঙ্কারের “শিশুশিক্ষা” সিরিজ দিয়ে, যা রচিত হয় ক্যালকাটা ফিমেল স্কুল প্রতিষ্ঠার সময়। এখানে উল্লেখ্য, প্রথম যে ১৬ জন বাঙালি তাঁদের কন্যাদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলেন, মদনমোহন তাঁদের একজন। একই সাথে তিনি অবৈতনিক শিক্ষক হিসেবে সেখানে পাঠদান করেন এবং ছাত্রীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক রচনায় এগিয়ে আসেন। যে কারণে এই বাক্যটি লক্ষ করা যায় : “এতদ্দেশীয় বালিকা বিদ্যালয়ের ব্যবহারার্থ”।
“শিশুশিক্ষা” অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়, এর অন্তর্ভুক্ত কবিতা ‘পাখি সব করে রব...’ আজও বিস্মৃত হয়নি। বাংলা প্রাইমারের পালাবদলে নতুন যুগ আনে ঈশ^রচন্দ্র বিদ্যাসাগরের “বর্ণপরিচয়”, ১৮৫৫ সালে, গদ্যের নির্মেদ ভঙ্গিতে। “শিশুশিক্ষা” কবির লেখনীতে প্রাইমার, আর “বর্ণ পরিচয়” গদ্যকারের প্রাইমার। “শিশুশিক্ষা” ও “বর্ণপরিচয়ে”র সাফল্যের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী দেড়শ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলা প্রাইমারের গতিপথ নির্মিত হয়েছে এবং এই বই দুটি আজও প্রাসঙ্গিক।
বাংলা ভাষায় শিক্ষার বহুল প্রসারের তাগিদে প্রাইমারগুলোর লক্ষ্য ছিল সুলভ, সংক্ষিপ্ত, সাশ্রয়ী, শিক্ষণীয় এবং একই সাথে চিত্তাকর্ষক ও শিশুবান্ধব হয়ে ওঠা। গভীর আগ্রহ, মনোযোগ, গবেষণা এবং প্রচেষ্টা ব্যতীত এতগুলো বৈশিষ্ট্যের সমাবেশ ঘটানো সম্ভব ছিল না। আধুনিক বাংলা ভাষা আর মুদ্রণ প্রযুক্তির বিকাশ হাতে হাত ধরে এগিয়ে চলেছে। তাই প্রাইমারগুলোর নকশা, মুদ্রণ, কাগজ, অলংকরণ, রং এবং বাঁধাইয়ে সেই সময়কার সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। মোটামুটি শুরু থেকেই বাংলা প্রাইমার সচিত্রকরণের প্রয়াস লক্ষণীয় এবং এতে মিশনারিদের বিশেষ অবদান ছিল।
উনিশ শতকের শেষ দুই দশকে গ্রন্থনামে ‘সচিত্র’ শব্দটি যোগ করার প্রবণতা দেখা যায়। এই সময়কালেই আবার গ্রন্থনামে ‘সহজ’ বা ‘সরল’ যোগ করার আগ্রহ কিংবা প্রয়োজন লক্ষ করা যায়। উনিশ শতকের শেষদিকে এসে ঢাকা থেকে প্রাইমার ছাপা হতে শুরু করে। রামসুন্দর বসাকের “আদি বাল্যশিক্ষা” প্রথম পূর্ববঙ্গ থেকে প্রকাশ হয় এবং জনপ্রিয়তার কারণে তা পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে। চাহিদার কারণে কলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রাইমারের ঢাকা সংস্করণও এ সময় প্রকাশ হতে থাকে। সীতানাথ বসাকের “আদর্শলিপি”ও পূর্ববঙ্গেই প্রথম প্রকাশ হয়। উনিশ শতকের শেষদিকে প্রাইমারের চাহিদা বাড়তে থাকে এবং ব্যবসায়িক লাভের আশায় নকল ও বেনামে ছাপার প্রবণতা শুরু হয়। ফলে এই সময় থেকে প্রাইমারের সংখ্যা বাড়লেও সে অনুপাতে মৌলিক পরিবর্তন চোখে পড়ে না।
এই প্রকাশনায় ১৮৪৯ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত প্রথম প্রকাশিত মোট আটটি নির্বাচিত প্রাইমারের নমুনা মলাটবন্দি করা হলো। এ থেকে প্রায় একশ বছর সময়কালে দৃশ্যমান বিষয়বৈচিত্র্য এবং বিবর্তনের একটি ধারাবাহিক রূপ উপলব্ধি করা যাবে। গঠনশৈলী, নান্দনিকতা, উপস্থাপনার বিশেষত্বের কারণে এই আটটি প্রাইমারকে নির্বাচন করা হয়েছে। সময়ক্রম অনুসারে প্রাইমারগুলো হলো—মদনমোহন তর্কালঙ্কার প্রণীত “শিশুশিক্ষা”, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রণীত “বর্ণপরিচয়”, রামসুন্দর বসাক প্রণীত “বাল্যশিক্ষা”, সীতানাথ বসাক প্রণীত “আদর্শ লিপি”, যোগীন্দ্রনাথ সরকার প্রণীত “হাসিখুসি”, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত “চিত্রাক্ষর”, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত এবং নন্দলাল বসু অলংকৃত “সহজ পাঠ” এবং বিমলচন্দ্র ঘোষ প্রণীত এবং সত্যজিৎ রায় অলংকৃত “হাতেখড়ি”। “হাতেখড়ি” বইটি এই সংকলনে ছাপার অনুমতি দেওয়ায় সন্দীপ রায়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা।
নির্বাচিত প্রাইমারগুলোর প্রথম প্রকাশিত নমুনাটি খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। এই বইয়ে প্রকাশিত নমুনাগুলো ওই প্রাইমারের (প্রাইমার সিরিজের ক্ষেত্রে প্রথম ভাগের) সব থেকে পুরানো ও প্রচলিত সংস্করণ (একাধিক নমুনার ক্ষেত্রে)।
বলে রাখা ভালো, প্রাইমারগুলোর প্রথম প্রকাশের তথ্য প্রমাণিত হলেও কপিরাইট পেইজ বা বাদবাকি তথ্য এখন আর জানা সহজ নয়। ফলে মূল বা প্রচলিত সংস্করণের প্রচ্ছদ ও অলংকরণ শিল্পী, অক্ষর খোদাইকার, লিপিকারদের নাম জানা সম্ভব হয়নি। তবে ধারণা করা যায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে লেখক নিজেই আঁকা, লেখা এবং অক্ষরবিন্যাস সবই করেছেন।
এই সংস্করণগুলো এতই প্রচলিত যে কপিরাইট বা নির্দিষ্ট প্রকাশক বা ছাপাখানার কোনো সূত্র পাওয়া দুরূহ। দুই বাংলার আনাচে-কানাচে কত ছাপাখানা থেকে এই প্রাইমারগুলো কতভাবে ছাপা হয়েছে এবং সাধারণের কাছে যুগের পর যুগ এর আবেদন ধরে রেখেছে তা সত্যিই ভাবনার খোরাক জোগায়। এখনো প্রাসঙ্গিক এবং সচল থাকার একটি কারণ বোধহয় কোনো নির্দিষ্ট কপিরাইট বা ছাপাখানায় আটকে না থাকা এবং সমকালীন বাস্তবতায় অবধারিত পরিবর্তনগুলোকে আত্তীকৃত করা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, রামসুন্দর বসাকের “আদি বাল্যশিক্ষা”য় কুইন ভিক্টোরিয়ার ছবির নিচে যুক্ত হয়েছে ভারত বিভাগ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার তথ্য। একইভাবে অনুমান করা যায় সীতানাথ বসাকের বহুল প্রচলিত “আদর্শ লিপি”র প্রাপ্ত সংস্করণে পাঠকের প্রয়োজনকে মাথায় রেখেই ইংরেজি ও উর্দু বর্ণমালার অন্তর্ভুক্তি। এক্ষণে বলে রাখা সমীচীন, এই প্রকাশনায় অন্তর্ভুক্ত কোনো নমুনাই এর প্রথম বা প্রাতিষ্ঠানিক সংস্করণের অথেন্টিসিটি বা প্রামাণিকতা দাবি করতে পারে না।
এ বইয়ে নির্বাচিত নমুনাগুলোর নকশা অপরিবর্তিত রেখে নতুন করে মুদ্রণ উপযোগী করা হয়েছে। যে নমুনাগুলোর পৃষ্ঠা নম্বর ছিল না, এখানে সেইরকমই রাখা হলো। সম্পূর্ণ বইয়ের প্রচ্ছদ এবং অঙ্গসজ্জা অক্ষুণ্ন রেখে কাজটি করা হলো যেন পাঠক পুরানোকালের হরফ, গ্রন্থসজ্জা, রংয়ের প্রমিত ব্যবহার এবং মুদ্রণশৈলীর সাথে পরিচিত হতে পারেন। বলা বাহুল্য মূল নকশা, রূপ ঠিক রেখে পুনর্মুদ্রণ বেশ শ্রমসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ এবং প্রতিটি পাতাতেই আলাদাভাবে মনোযোগ দিতে হয়েছে। “চিত্রাক্ষর” বইটি মুদ্রণ হয়েছিল আড়াআড়িভাবে; এই সংকলনের আকারের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে বাকি নমুনাগুলোর মতো পোর্ট্রেট আকারে ছাপা হলো। এক শতক সময়কালে বিস্তৃত বলে অবধারিতভাবেই মুদ্রণে বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে। যেমন মুদ্রণে উডব্লক প্রিন্টিং, মুভেবল টাইপ প্রিন্টিং, স্ক্রিনপ্রিন্টিং, লেটারপ্রেস প্রিন্টিং এবং অলংকরণে উড প্রিন্টমেকিং, এচিং, লিথোগ্রাফি এবং লাইনোকাটের কাজ উল্লেখযোগ্য।
বাংলা প্রাইমারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা দুইশ বছরেরও বেশি সময়ের। সময়ের সাথে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানবিক মূল্যবোধ বিকাশের সক্রিয় প্রয়াস বাংলা প্রাইমারের গতিপথকে প্রভাবিত করেছে। বাংলা প্রাইমার সমকালীন আর্থসামাজিক এবং রাজনৈতিক সংস্কারের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে এগিয়ে গিয়েছিল। আধুনিক বাংলা ভাষা-কাঠামো ও বাংলা প্রাইমার নিয়ে যারা যুক্ত হয়েছেন, তাদের আগ্রহের মূলে মাতৃভাষায় সর্বজনীন শিশুশিক্ষা তথা সামগ্রিক সমাজচিন্তার প্রভাব স্পষ্ট উপলব্ধি করা যায়। আধুনিক বাংলা ভাষায় সর্বজনীন শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে এক একটি প্রাইমার মাইলফলকের মতো কাজ করেছে।
চিত্রায়ণ, অঙ্গসজ্জা, মুদ্রণকৌশল, প্রতীক নির্বাচন ও উপস্থাপন এবং সর্বোপরি বৃহত্তর পাঠকশ্রেণী নির্ধারণের মাধ্যমে বাংলা প্রাইমারের সার্বজনীন হয়ে ওঠার প্রবণতা আসলে এর সমকালীন ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। হাতে লেখা পুঁথিনির্ভর কিংবা ধর্মীয় টোল-মক্তবকেন্দ্রিক গুরুমুখী শিক্ষার প্রথা থেকে সর্বজনীন বিদ্যালয়কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থায় উত্তরণে বাংলা প্রাইমারের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। বিদ্যালয়ের গণ্ডির বাইরেও লেখাপড়া চর্চার কাজটি সহজ করে দেয় প্রাইমার। বিশেষত নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে এর তাৎপর্য ব্যাপক।
আধুনিক বাংলা ভাষার বিকাশ ও প্রায়োগিক গবেষণা বাংলা প্রাইমারের বিকাশের সমান্তরালে এগিয়েছে। এই অঞ্চলে মুদ্রণ ও প্রকাশনার বিকাশে বাংলা প্রাইমারের ব্যবসায়িক সফলতার গুরুত্ব কম নয়। প্রাইমারের বাজার বৃদ্ধির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বিস্তার ঘটেছে ছাপাখানার সংখ্যা এবং মুদ্রণকৌশল। বাংলা প্রাইমারের সূচনা ও বিকাশকে বাঙলার নবজাগৃতির পটভূমিতে উপলব্ধি করার যথেষ্ট রসদ আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ইতিহাসের মূল্যবান দলিল হিসেবে সংরক্ষিত বা আলোচিত হয়নি।
এ বিষয়ে আমার এই কাজটি বাংলা প্রাইমারের অবয়ব, চিত্রায়ণ ও মুদ্রণের পরিসরে সীমিত। এই প্রকাশনাটি নকশা ও মুদ্রণসংশ্লিষ্টদের কাছে সহায়ক হতে পারে। কিন্তু বাংলা প্রাইমারের সামগ্রিক পর্যালোচনার পরিসর আরো অনেক বিস্তৃত এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকাশনার সুবাদে যদি বাংলা প্রাইমারের বিষয়ে তরুণদের কৌতূহল সৃষ্টি হয়, আশা করব তা কেবল কারিগরি বিষয়েই সীমিত থাকবে না এবং এ বিষয়ে তাত্ত্বিক ও প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণাকে উৎসাহিত করবে।
স্বজন ও সুহৃদদের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা আমাকে এ ধরনের ভাবনা ও প্রকাশনার ধারাবাহিকতায় অনুপ্রাণিত করেছে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনার কারিগরি বিষয়ে সম্পূরক ধারণার জন্য এই প্রকাশনাকে কেন্দ্র করে আমার বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের সাথে নিয়ে একটি প্রদর্শনীর উদ্যোগ নিয়েছি। এর সবটাই ব্যক্তিগত প্রয়াসের ফল। কারিগরি দিকের বাইরে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ বা অ্যাকাডেমিক নিরীক্ষার সুযোগ এক্ষেত্রে ছিল না। কার্যত প্রকাশনাটির মূল্যায়ন ও মানোন্নয়নে পাঠকের ওপরই নির্ভর করতে হবে। অতএব এ বিষয়ে যেকোনো সমালোচনা, পরামর্শ, সহযোগিতার অধিকার পাঠকের এবং পরবর্তী সংস্করণে ভুলত্রুটি সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্ধনের দায়িত্ব আমার।
এই প্রেক্ষিতে সাফল্য এবং সীমাবদ্ধতাসহ প্রকাশনাটির অংশীদারিত্ব পাঠকের সাথে ভাগ করে কাজটিকে এগিয়ে নেওয়ার আশা রাখছি।
ডেলিভারি সময়
১~৩ দিন: ঢাকা শহর
৩~৫ দিন: সারা বাংলাদেশ
১~৪ সপ্তাহ: দেশের বাইরে
ডেলিভারি চার্জ
টাকা 60 : ঢাকা শহরে
টাকা 100 (কমপক্ষে): সারা বাংলাদেশ
পার্সেলের ওজনের উপর নির্ভর করে*
'কার্টে নিন' বাটন চাপলে, বই বা আইটেমটি কার্টে চলে যায়। এরপরে আরো বই বা আইটেম যোগ করতে পারেন। অবশেষে, অর্ডার করার জন্য, আপনি উপরের মেনু বারের ডানদিকে কার্ট আইকনে ট্যাপ (ক্লিক) করুন। আবার অন্যভাবে, যখন কার্টের সামারি দেখায় তখন 'এখনই অর্ডার করুন' বাটনে চেপে কার্টে যেতে পারেন। কার্ট পেজে কি কি বই বা আইটেম নিয়েছেন তা ভালো করে বিস্তারিত দেখতে পারবেন। সুবিধামত বই বা আইটেমগুলি কম বেশি করে নিতে পারেন। কোনটা কিনতে না চাইলে তা বাদ দিতে পারেন। তারপরে শিপিং পেমেন্ট পেজ এ যাবেন। যদি আপনি লগইন অবস্থায় না থাকেন তাহলে মোবাইল নম্বর ভেরিফাই হবে। আপনার মোবাইলে ওয়ান টাইম 4 ডিজিটের পিন বহনকারী একটি এসএমএস আসবে। আপনি পিন সঠিকভাবে প্রবেশ করার পর, আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ ইন হয়ে যাবেন। এখন, শিপিং এবং পেমেন্ট পেজ দেখা যাবে। আপনি যদি আগে আমাদের কাছ থেকে অর্ডার করে থাকেন, তাহলে আপনি আপনার নাম খুঁজে পাবেন, ইমেল, শিপিং ঠিকানা এবং শিপিং টাইপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পপুলেটেড হবে। যদি এই অর্ডারই আপনার জন্য প্রথম হয় তাহলে সুস্বাগতম! এই পেজে দরকারি তথ্য এন্টার করুন এবং সাবমিট করুন। ব্যাস হয়ে গেলো আপনার প্রথম অর্ডার! যদি বিকাশ বা রকেট অফলাইন পেমেন্ট সিলেক্ট করে থাকেন, তাহলে এখন আপনি মার্চেন্ট নম্বর 01779003333-এ পেমেন্ট করবেন। ট্রানসাকশান আইডি (TrxID) সাবমিট করবেন। আমরা শীঘ্রই আপনাকে কল করব। প্রয়োজনে পুরা প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে আমরা আপনাকে সহায়তা করবো।
সেরা ডেলিভারি অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য, ঠিকানা যতটা সম্ভব বিস্তারিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি কখনো আপনার ঠিকানায় ভুল থাকে তাহলে,আমাদের সাপোর্ট টিম আপনার মোবাইল নম্বরে কল করবে এবং এটি সংশোধন করতে সাহায্য করবে। অতএব, খেয়াল রাখুন যেকোনো সময়ে আমাদের হেল্প লাইন নম্বর থেকে কল যেতে পারে। যদি ডেলিভারি ঠিকানা ঢাকা শহরের মধ্যে হয়, আমাদের ডেলিভারি পার্সন আগে আপনাকে কল করবে। যদি আপনার ঠিকানা অন্য কোথাও হয় (বাংলাদেশ বা দেশের বাইরে), তাহলে আমাদের নির্ধারিত কুরিয়ার পার্টনার আপনার কাছে পার্সেল পৌঁছে দেবে। যদি কোনো নির্দিষ্ট সময়ে পার্সেল গ্রহণ করতে না পারেন তাহলে অথবা অন্য যেকোনো কারণে যে কোনো সময়ে আমাদের হেল্প লাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন। এছাড়াও, আমাদের ফেসবুক (TM) পেজে ইনবক্সিং দ্বারা মেসেজ পাঠাতে পারেন।
ইবইঘরে আপনার প্রয়োজনে সবচেয়ে সেরা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া অপেক্ষা করছে। এটি আমাদের একটি অঙ্গীকার. আমরা অক্টোবর, ২০১২ থেকে সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। হাজার হাজার শিক্ষার্থী,শিক্ষাবিদ, পেশাদার আমাদের ভালোবেসেছেন এবং বিশ্বাস করেছেন। এই বিশ্বাসকে আমরা গভীরভাবে মূল্য দিই। আমাদের বিস্তারিত রিটার্ন নীতি শর্তাবলী পৃষ্ঠায় আছে। এখানে অর্ডার করার অর্থ এই যে, আপনি এই শর্তাবলী মেনে নিয়েছেন। সংক্ষেপে বলতে, ডেলিভারি দেওয়ার পরে যদি অর্ডার (বা আইটেম) ত্রুটিপূর্ণ মনে করেন, তাহলে আপনি পুরো অর্ডার বা অর্ডারের কিছু অংশ ফেরত দিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, বইয়ের ছেঁড়া পাতা, অনুপস্থিত পাতা, ভুল বই, ভেজা, বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত ইত্যাদি বৈধ ত্রুটি থাকলে একটি বই ফেরত দেওয়া যেতে পারে। । এই ধরনের ক্ষেত্রে আমরা আইটেমটি বদলিয়ে দেই। যদি কোনো কারণে বদলানো না যায়, তাহলে আমরা বইটির মূল্য ফেরত দেই। আমরা আপনার ওপরে আস্থাশীল।
পুরো ইকমার্স সেবার যেকোনো সময়ে যদি কোন অসুবিধার সম্মুখীন হন এবং ইবইঘরের শীর্ষ ব্যবস্থাপনায় অভিযোগ করতে চান, তাহলে দয়া করে ইমেল পাঠান info@eBoighar.com। শীর্ষ ব্যাবস্থাপক দৈনিক এই ঠিকানায় যেকোন ইমেল পড়েন।
৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে, ইবইঘর মানুষের একাডেমিক, পেশাগত এবং ব্যক্তিগত বইয়ের চাহিদা পূরণ করে আসছেে। বর্তমানে, পাঠ্যপুস্তক, গাইডবুক, প্রশ্ন ব্যাংক, পরীক্ষা প্রস্তুতি গাইড থেকে কথাসাহিত্য, নন-ফিকশন এবং ধর্মীয়, ইসলামিক; নার্সারি থেকে পিএইচডি স্তর পর্যন্ত সকল প্রকার বই পাবেন। যখন বইপ্রেমীদের কিছু বিরল বইয়ের প্রয়োজন হয়, তখন তাঁরা আমার বই খুঁজুন পেজে আমাদেরকে অনুরোধ করেন। আমরা আনন্দের সাথে সাহায্য করি। আমরা অনেক দরকারী সরঞ্জাম এবং একসেসরিও বিক্রি করি। আমাদের চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং অ্যাপ্রন সারা বছর হাজারো চিকিৎসকের মন কুড়িয়ে চলেছে। সুবিধাজনক ইলেকট্রনিক পেমেন্ট, ক্যাশ অন ডেলিভারি, সহজ, ন্যায্য এবং উদার রিটার্ন এবং রিফান্ড ... সবই ক্রেতাদের ভালোবাসা অর্জন করেছে। আপনাদের যে কোনো অভিযোগ আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় সমাধান করি। আমরা সেরা মূল্য এবং সেবার মানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
সকল শিক্ষার্থীদের জন্য সফল হওয়ার সমান সুযোগ তৈরির জন্য আমরা নিরলস কাজ করছি।। সমস্ত শিক্ষাবিদ, পেশাদার এবং ব্যক্তিদের জন্য। সমস্ত ক্রেতা, সরবরাহকারী এবং পৃষ্ঠপোষক ... অবস্থান নির্বিশেষে, সবার জন্যে। সকল মানুষের জন্য সাশ্রয়ী ও নতুন নতুন ডিজিটাল সক্ষমতা ছড়িয়ে দিতে আমরা সাধ্যের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তাই আজই যোগদান করুন । সার্চ করুন, ব্রাউজ করুন এবং কিনুন। আপনার আইডিয়াা আমাদেরকে পাঠান। আসুন একসাথে, একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি।
"সব কুকিজ গ্রহণ করুন" ক্লিক করে, আপনি সাইট নেভিগেশন উন্নত করতে, সাইটের ব্যবহার বিশ্লেষণ করতে, এবং আমাদের বিপণন প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য আপনার ডিভাইসে কুকি সংরক্ষণ করতে সম্মত হন।
×
যখন আপনি কোন ওয়েবসাইট পরিদর্শন করেন, তখন ওয়েবসাইটটি বেশিরভাগই কুকিজ আকারে আপনার ব্রাউজারে তথ্য সংরক্ষণ বা পুনরুদ্ধার করতে পারে। এই তথ্যগুলো আপনার পছন্দ বা আপনার ডিভাইস সম্পর্কে হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেন সাইটটি আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে তা নিশ্চিত করতে এগুলো ব্যবহৃত হয়। এগুলো সাধারণত আপনাকে সরাসরি সনাক্ত করে না, তবে এটি আপনাকে আরও ব্যক্তিগতকৃত ওয়েব অভিজ্ঞতা দিতে পারে। আমরা আপনার গোপনীয়তার অধিকারকে সম্মান করি। তাই আপনি কিছু ধরণের কুকিজের অনুমতি নাও দিতে পারেন। আরও জানতে এবং আমাদের ডিফল্ট সেটিংস পরিবর্তন করতে বিভিন্ন বিভাগের শিরোনামে ক্লিক করুন। যাইহোক, কিছু ধরণের কুকিজ ব্লক করলে আমাদের ওয়েবসাইটে আপনার অভিজ্ঞতা এবং আমাদের সার্ভিসগুলি ব্যাহত হতে পারে।
অধিক তথ্য
এই কুকিজ ওয়েবসাইটের কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় এবং আমাদের সিস্টেমে বন্ধ করা যাবে না। সেগুলি সাধারণত আপনার দ্বারা সাইট ব্যবহার করার ফলে সেট করা হয়। যেমন আপনার প্রাইভেসী চয়েস সেট করা, লগ ইন করা বা ফর্ম পূরণ করা। আপনি আপনার ব্রাউজারকে এই কুকিজ সম্পর্কে ব্লক বা সতর্ক করার জন্য সেট করতে পারেন, কিন্তু সাইটের কিছু অংশ তখন কাজ করবে না। এই কুকিগুলি ব্যক্তিগতভাবে সনাক্তযোগ্য কোনো তথ্য সংরক্ষণ করে না।
এই কুকিজ আমাদের কতগুলো ভিজিট এবং তার উৎস হিসাব করার অনুমতি দেয়। ফলে আমরা সাইটের কর্মক্ষমতা পরিমাপ ও আরো উন্নত করতে পারি। কোন পৃষ্ঠাগুলি সবচেয়ে কম অথবা বেশি জনপ্রিয়, কিভাবে দর্শনার্থীরা সাইটের বিভিন্ন পেজে যাচ্ছেন। এইসব বিষয় এই কুকিজ গুলো আমাদের জানতে সাহায্য করে। কোনো ব্যাক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হয় না। আপনি যদি এই কুকিগুলিকে অনুমতি না দেন তাহলে আপনি কখন আমাদের সাইট পরিদর্শন করেছেন তা আমরা জানতে পারব না এবং এর কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হব না।
এই কুকিগুলি ওয়েবসাইটকে উন্নত কার্যকারিতা এবং ব্যক্তিগতকরণ প্রদান করতে সক্ষম করে। সেগুলি আমাদের দ্বারা বা তৃতীয় পক্ষের দ্বারা সেট করা হতে পারে। তৃতীয় পক্ষ, যাদের পরিষেবাগুলি আমরা আমাদের পৃষ্ঠায় যুক্ত করেছি তাঁরা। আপনি যদি এই কুকিগুলিকে অনুমতি না দেন তাহলে এই আমাদের সার্ভিসের কিছু বা সবগুলি সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে।
এই কুকিজ আমাদের সাইটের মাধ্যমে আমাদের বিজ্ঞাপন অংশীদারদের দ্বারা সেট করা হতে পারে। সেগুলি আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে এবং অন্যান্য সাইটে আপনাকে প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য সেগুলি ব্যবহার করা হতে পারে। তারা সরাসরি ব্যক্তিগত তথ্য সঞ্চয় করে না, কিন্তু আপনার ব্রাউজার এবং ইন্টারনেট ডিভাইসকে অনন্যভাবে চিহ্নিত করতে পারে। আপনি যদি এই কুকিজের অনুমতি না দেন, তাহলে আপনি কম লক্ষ্যযুক্ত বিজ্ঞাপনের অভিজ্ঞতা পাবেন।
এই কুকিগুলি বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া সার্ভিস দ্বারা সেট করা হয়েছে। ফলে আপনার বন্ধুদের সাথে এবং তাদের সামাজিক মিডিয়াতে বই বা আইটেম যেন আপনি শেয়ার করতে পারবেন। সামাজিক মিডিয়া অন্যান্য সাইট জুড়ে আপনার ব্রাউজার ট্র্যাক করতে পারে। আপনার আগ্রহের প্রোফাইল তৈরি করতেও সক্ষম। আর দ্বারা আপনার ভিজিট করা অন্যান্য ওয়েবসাইটের তথ্য এবং মেসেজ প্রভাবিত হতে পারে। আপনি যদি এই কুকিগুলিকে অনুমতি না দেন তাহলে আপনি এই শেয়ারিং টুলগুলি ব্যবহার করতে বা দেখতে পারবেন না।
ফেসবুক বা গুগলের মাধ্যমে দ্রুত লগইন করুন